স্বদেশ ডেস্ক: কুমিল্লা সদরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেলুন দোকানে বস্তার ভেতর পা ও গলাকাটা যুবক দেলোয়ার হোসেন (২৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । শুক্রবার রাত ৮টায় ময়নামতি সেনা মিলনায়তনের মার্কেটের লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে দোকানে রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় ।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে । প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ রাত সাড়ে ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে সেলুনের মালিক লক্ষণ পলাতক রয়েছে। সে সদরের আমতলী এলাকার মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে । তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানান, ময়নামতি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন নিহত দেলোয়ার। পেশায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় স্ত্রী কল দিলে তাকে জানায় সে লক্ষণের সেলুন দোকানে আছে। রাত ১টায় মোবাইল নাম্বালে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় ।
শুক্রবার সকালে কোথাও খোঁজি না পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহান সরকার পিপিএম বলেন, নিহত দেলোয়ারকে গলা ও পা কেটে বস্তা ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি দোকানের মালিক লক্ষণের সাথে নিহত দোলোয়ারের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে ঘটনা পর থেকে লক্ষণ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়ে।